google-site-verification: google3b5fc0e4445d308c.html শরীরের যে ছয়টি উপসর্গ অবহেলা নয় - HEALTH SOLUTION

Header Ads

শরীরের যে ছয়টি উপসর্গ অবহেলা নয়

শরীরের যে ছয়টি উপসর্গ অবহেলা নয় ঃ-
আমাদের শরীরে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের ব্যথা অনুভূত হয়।      বেশিরভাগ ব্যথাই খুব বেশি বিপদজনক নয়। কিন্তু কিছু কিছু ব্যথার ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধান হতে হবে।
হাতে-পায়ে দুর্বলতা : যদি এমন হয় আপনি হাতে কিংবা পায়ে জোর পাচ্ছেন না, দুর্বল লাগছে ,এটা স্ট্রোকের লক্ষ্মণ হতে পারে। এ ধরনের দুর্বলতা মুখেও হতে পারে। বিশেষ করে শরীরের একাংশ জুড়ে যদি এমন সমস্যা হয়, তাহলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। হাঁটার সময় মাথা ঘোরা কিংবা      এমনিতে মাথা ঘোরা যদি এমন পর্যায়ে থাকে যখন আপনি নিজের ওপর ভারসাম্য রাখতে পারেন না তখনও তা স্ট্রোকের সংকেত দেয়। আবার যদি হঠাৎ আপনি চোখের সামনে অন্ধকার দেখেন ,প্রচণ্ড মাথা ব্যথা     অনুভব করেন এবং কারো সঙ্গে কথা বলতে বা বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে তা খারাপ       উপসর্গ বুঝতে হবে। এমন হলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হউন।
বুকে ব্যথা : বুকে ব্যথার সঙ্গে যদি ঘাম হয়         তাহলে তা অবহেলা করা যাবে না। উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া এরকম কিছু হলে অবহেলা করবেন না।             বুকে ব্যথা এবং উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া হৃদরোগে সমস্যা কিংবা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষ্মণ হতে পারে। আপনার বুকে চাপ ধরে আসছে কিংবা ভারী লাগছে কয়েক মিনিটের জন্য, আবার ঠিক হয়ে যাচ্ছে।                  কিছুক্ষন পর আবার ব্যথাটা ফিরে আসছে তাহলে দেরী না করে চিকিৎসকের পরামর্ম নিন।

পায়ের নিচের দিকে ব্যথা : ফুসফুসে রক্ত জমাট বাঁধলে             অনেক সময় পায়ের নিচের দিকে ব্যথা হতে পারে। এটাকে বলা হয় ডিপ ভেইন থ্রোমবসিস। অনেকক্ষন একটানা বসে থাকলে এটা হতে পারে। যেমন- প্লেনে একটানা অনেকক্ষন বসলে, অসুস্থ থাকলে এবং             বিছানায় অনেক্ষন শুয়ে থাকলে এটা হতে পারে।
যদি ফুসফুসে রক্ত জমাট বাঁধে তাহলে দাঁড়ানো বা হাঁটার সময় অনেক বেশি ব্যথা লাগবে।                  রক্ত জমাট বাধলে আক্রান্ত পা অন্য পায়ের চেয়ে ফুলে যায়, লালচে দেখায়। এমন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরনাপন্ন হবেন।
প্রসাবে রক্ত দেখা গেলে : যদি প্রসাবের সঙ্গে রক্ত দেখা যায়,               সেই সঙ্গে পিঠে এবং কোমর ব্যথা থাকে তাহলে তা কিডনিতে পাথর জমার লক্ষ্মণ হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা হলে আগে চিকিৎসকের কাছে যান। আলট্রাসাউণ্ড বা এক্স-রের মাধ্যমে এটা সনাক্ত করা সম্ভব হবে।                    প্রসাবে যদি রক্ত দেখা যায় কিন্তু কোন ব্যথা থাকে না তাহলে সেটা কিডনি রোগেরও লক্ষ্মণ হতে পারে।
নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলে : যেকোন কারণে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলে অবহেলা করবেন না।                          আর নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় যদি বুকে বাঁশির মতো শব্দ হয় তাহলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটা জরুরি। অ্যাজমা, ফুসফুসের সমস্যা,নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিসের জন্য এটা হতে পারে।
আত্মহত্যা চিন্তা : যদি বেঁচে থাকার কোন কারণ নেই, জীবনটা পুরোপুরি ব্যর্থ ,                            এরকম মনে হয় এবং আত্মহত্যার চিন্তা বারবার আসে তাহলে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন।

No comments

Powered by Blogger.